তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের চিন্তাপ্রসূত মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট। ইস্তাম্বুলের এশিয়া অংশে পড়া এ মসজিদে ওসমানীয় ও সেলজুক সাম্রাজ্যের স্থাপত্য রীতির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।

মসজিদটি শুধু ইবাদতখানা নয়, এতে নামাজের বিস্তৃত জায়গার পাশাপাশি রয়েছে আর্ট গ্যালারি, লাইব্রেরি, ওয়ার্কশপ, কনফারেন্স হল ও ইসলামি সভ্যতার জাদুঘর।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উসকুদার জেলার চামলিকা পাহাড়ে নির্মাণ করা স্থাপনাটির নাম চামলিকা গ্র্যান্ড মসজিদ। তিন বছর আগে দেশটির বৃহত্তম শহরে এর ‍উদ্বোধন হয়।

সে সময় থেকে আড়াই কোটি পর্যটক মসজিদটি দেখতে এসেছেন বলে জানানো হয়েছে ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের চিন্তাপ্রসূত মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট। ইস্তাম্বুলের এশিয়া অংশে পড়া এ মসজিদে ওসমানীয় ও সেলজুক সাম্রাজ্যের স্থাপত্য রীতির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।

মসজিদটি ইস্তাম্বুলের অন্যতম প্রতীকে রূপ নিয়েছে। তুরস্কের সবচেয়ে বড় এ মসজিদের প্রতিটি অংশই কোনো না কোনো বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। এর চারটি মিনারের উচ্চতা ১০৭.১ মিটার। এগুলো ১০৭১ সালে বাইজেন্টাইন সেনাদের বিরুদ্ধে পূর্ব তুরস্কের মালাজগার্টে সেলজুক তুর্কিদের জয়ের প্রতীক।

ভূমি থেকে মসজিদটির প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ৭২ মিটার। এর মাধ্যমে শহরটিতে ৭২টি জাতিগোষ্ঠীর বসবাসকে বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয় গম্বুজের ব্যাস ৩৪ মিটার, যা দ্বারা ইস্তাম্বুলের অফিশিয়াল লাইসেন্স নম্বরকে বোঝানো হয়েছে।

মসজিদের ফটকের ওজন ছয় টন, যার উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার। এর প্রস্থ ৫ মিটার। দৈর্ঘ্য-প্রস্থের দিক থেকে এটি মসজিদের বৃহত্তম ফটকগুলোর একটি। মসজিদটিতে আটটি ওয়ার্কশপ, সাড়ে ৩ হাজার বর্গমিটারের আর্ট গ্যালারি, তিন হাজার বর্গমিটারের লাইব্রেরি, ১০৭১ আসনের কনফারেন্স হল এবং সাড়ে তিন হাজার গাড়ি রাখার একটি পার্কিং স্পেস রয়েছে।